প্রেস বিজ্ঞপ্তি: পিবিআই নারায়ণগঞ্জ (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) জেলা পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানিয়েছেন গত ২৩ অক্টোবর সোনারগাঁও থানায় একটি নিখোঁজ জিডি হয়, যাহার নং- ১২৩০। জিডির বাদীনি আমাদের সহায়তা চাইলে, আমরা বাদীনির সাথে আলোচনা করে উক্ত জিডি মূলে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিমকে পোস্তগোলা এলাকা হতে গত ২৯ অক্টোবর মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করি এবং ভিকটিমের দেওয়া তথ্য মতে জানতে পারি, শারমিন নামীয় মেয়ে তার মায়ের মোবাইলে ফোন করে জানায় ভিকটিমের স্বামী একটি মেয়ের সাথে প্রেম করে এবং অদ্যই তাদের বিবাহ হবে। তখন ভিকটিম তার স্বামীর মোবাইলে ফোন করলে দূর্ভাগ্যজনক ভাবে তার স্বামীর মোবাইল বন্ধ থাকায় ভিকটিম কথিত শারমিনের কথা বিশ্বাস করে দিশে হারা হয়ে যান। তখন শারমিন ভিকটিমকে বলে আমি তোমার ভাল চাই এবং তোমার বাসার কাছে মেঘনা ব্র্রীজ এর কাছে কালো বোরখা এবং হাতে কালো ঘড়ি পড়া অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকব তুমি ঐখানে দ্রুত আস। তোমাকে তোমার স্বামীর প্রেমিকার কাছে নিয়ে যাব। তখন ভিকটিম দিশে হারা হয়ে কাউকে কিছু না বলে মেঘনাব্রীজে আসলে পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকা কথিত শারমিন এর সাথে দেখা হওয়া মাত্রই একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাসে তুলে ফেলে এবং গাড়িতে ওঠা মাত্রই ০১ (এক) নং আসামী মাহফুজসহ আরো অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে দেখতে পান। তখন ভিকটিম কিছু বুঝে উঠার আগেই আসামী মাহফুজ তার মুখ চেপে ধরেন, তারা তাকে ঢাকা যাত্রাবাড়ি, গেন্ডায়িাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে থাকেন। পরে মাহফুজ তার নিজ বাড়িতে ভিকটিমকে আটকে রেখে বহুবার ধর্ষন করেন বলে ভিকটিম আামাদের জানায়। ভিকটিম কান্নাকাটি করলে আসামীর ভাই জসিম এবং তার স্ত্রী শারমিন জোরপূর্বক কাগজে স্বাক্ষর নেন। আমরা ভিকটিমের দেওয়া তথ্যমতে এবং তথ্য প্রযু্িক্তর সহায়তায় এজাহার নামীয় ০১ নং আসামী মাহফুজ, পিতা- শেখ আনোয়ার, সাং- বেথুয়া, থানা- দোহার, জেলা- ঢাকা-কে দোহার থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করে সোনারগাঁও থানায় হাজির হই এবং ভিকটিম আসামীকে শনাক্ত করেন। ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে আমাদের সহায়তায় নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করেন এবং পিবিআই, নারায়ণগঞ্জ স্ব-উদ্যোগে মামলাটি গ্রহণ করেছে এবং মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।